Header Ads

৩০ এপ্রিলের মধ্যে টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র আদালতে জানালেন পর্ষদ সভাপতি

  আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র দেওয়া হবে

বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র

সংক্রান্ত একটি মামলায় পর্ষদ সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই

নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার আদালতে হাজির হয়ে গৌতমবাবু জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন

পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে। তবে পর্ষদের টাকা

না থাকার যুক্তি সত্ত্বেও সভাপতিকে রেয়াত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপধ্যায়। বরং ভৎসনার সুরে বিচারপতি

বলেন, ‘আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্টে দৌড়নোর সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের

পিছনে ৩০ লাখ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক

রীতিনীতির দোহাই দেওয়া হচ্ছে!’ পাশাপাশি এদিনের এই মামলাতেও ঘুরে ফিরে আসে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি

মানিক ভট্টাচার্যর প্রসঙ্গও। মানিকের পথ যাতে তিনি অনুসরন না করেন সেবিষয়েও গৌতম পালকে সতর্ক করে

দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না।' পর্ষদ সভাপতি অবশ্য

বিচারপতির পরামর্শ শুনে ইতিবাচক উত্তরই দেন। বলেন, ‘আচ্ছা, ধর্মাবতার'।

ঘটনা হল, এর আগে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ সমস্ত চাকরিপ্রার্থীকে শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ

দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। সেসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

ওই বছর প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থী পাশ করেন। ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণরা শংসাপত্র না পেয়ে

আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় পর্ষদ সভাপতিকে তলব করেছিলেন বিচারপতি. 


















No comments

Powered by Blogger.